বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ক্লিনিকের নেই অনুমোদন। অননুমোদিত এমন ৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ার লিখিত আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বন্ধ করে দেওয়া ক্লিনিকগুলো হলো শহরের সালেহা, শান্তি, পপুলার, একতা, ইবনে সিনা, আল্ট্রা ল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা বলছে, যে রোগিরা ভর্তি আছেন তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আদেশ আমান্য করে কেউ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে বেশিরভাগেরই মালিক ও ম্যানেজারকে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে নার্স, আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যে রোগি রয়েছে, তা আগের ভার্তি। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি করেননি।
এ বিষয়ে মাগুরা শহরের ইবনে সিনা ক্লিনিকের মালিক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের ক্লিনিক থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কয়েকজন রোগী এখানে ভর্তি আছেন। তারা সুস্থ হয়ে না উঠলে আমরা কিভাবে ক্লিনিক বন্ধ করে দেবো।
একতা ক্লিনিকের মালিক মো. নাদের হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছি। কারণ, যে রোগী এখানে ভর্তি আছেন তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তো আর তাদের ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা শিগগিরই অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি।
ইবনে সিনা ক্লিনিকের নার্স রহিমা খাতুন বলেন,যে কয়েকজন রোগী এখানে আছেন, আমরা তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এসব ক্লিনিককে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পূরণ করতে পারেননি। তাই তাদের ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ার লিখিত আদেশ দেওয়া হয়েছে। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাগুরাতে মোট প্রাইভেট ক্লিনিকের সংখ্যা ১২৪টি। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনুমোদনহীন বলে জানা গেছে।